একটা কিডনির দাম কত – বিস্তারিত জানুন: মানুষের কিডনি একটি অমূল্য অঙ্গ, যার কোনো নির্দিষ্ট মূল্য নেই। তবে কালোবাজারে এবং অবৈধ উপায়ে কিডনি কেনাবেচার ঘটনা মাঝেমধ্যেই শোনা যায়। বাংলাদেশে কিডনি কেনাবেচা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং এটি আইনের আওতায় দণ্ডনীয় অপরাধ।
তবে বিভিন্ন প্রতারক চক্র এবং চোরাকারবারিরা কিডনি বিক্রি ও কেনার অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে থাকে। অনেক সময় কিডনি দাতাকে (ডোনার) ২ থেকে ৮ লাখ টাকা দেওয়া হয়, অথচ রোগীদের কাছ থেকে ২০ থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়।
👉 এই পোস্টে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব ২০২৫ সালে কালোবাজারে কিডনির দাম কত হতে পারে, কেনাবেচার পদ্ধতি কীভাবে ঘটে এবং কেন এটি অবৈধ।
একটা কিডনির দাম কত ২০২৫ সালে?
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বয়স ও শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী কিডনির দাম ভিন্ন হয়ে থাকে। প্রতারক চক্রের মাধ্যমে সাধারণত—
✅ ২০-২৬ বছর বয়সী ব্যক্তিদের কিডনি: ৭-৮ লাখ টাকা
✅ ৩০-৪০ বছর বয়সীদের কিডনি: ৪-৬ লাখ টাকা
✅ ৫০ বছরের বেশি বয়সীদের কিডনি: ২-৩ লাখ টাকা
তবে রোগীর অবস্থা ও চাহিদার ওপর ভিত্তি করে কালোবাজারে কিডনি বিক্রির দাম ২০ থেকে ৭০ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
BSRM রডের দাম ২০২৫ – আজকের আপডেটেড মূল্য
মানুষের কিডনির দাম কত?
অসহায় ও গরিব মানুষদের টাকার লোভ দেখিয়ে কিডনি কেনার ঘটনা বেশি ঘটে। সাধারণত—
🔹 কিডনি বিক্রেতাকে (ডোনার) দেওয়া হয়: ২-৮ লাখ টাকা
🔹 রোগীর কাছ থেকে নেওয়া হয়: ২০-৫০ লাখ টাকা বা তার বেশি
এটি সম্পূর্ণ অবৈধ ও অনৈতিক ব্যবসা, যেখানে দরিদ্ররা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং মধ্যস্থতাকারীরা লাভবান হয়।
কিডনি কেনাবেচা কি বৈধ?
❌ বাংলাদেশে কিডনি কেনাবেচা সম্পূর্ণ অবৈধ।
✅ শুধুমাত্র নিকট আত্মীয়দের মধ্যে কিডনি দান বৈধ।
যদি কোনো ব্যক্তি কিডনি দান করতে চান, তবে তা আইনানুগ প্রক্রিয়ায় করতে হবে। কিডনি কেনাবেচার ক্ষেত্রে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয় এবং দোষীদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হয়।
শেষ কথা
কিডনি মানুষের শরীরের একটি অমূল্য অঙ্গ, যার নির্দিষ্ট কোনো দাম নেই। কালোবাজারি ও চোরাকারবারিরা সাধারণত গরিব মানুষের কাছ থেকে কম দামে কিডনি কিনে এবং রোগীদের কাছ থেকে উচ্চমূল্যে বিক্রি করে। তবে এটি সম্পূর্ণ অবৈধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
👉 কিডনি সংক্রান্ত যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং আইনি দিক বিবেচনা করুন।
🚨 কিডনি কেনাবেচা সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন!