ডিভোর্স দিতে কত টাকা লাগে? – বিস্তারিত জানুন: বর্তমানে বিবাহ বিচ্ছেদের (ডিভোর্স) সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সালে ডিভোর্সের সংখ্যা ছিল ১২,৫১৩টি, যা ২০২১ সালে বেড়ে ১৪,৬৫৯টি হয়েছে। শুধু ঢাকা শহরেই গত চার বছরে ৫২,৯৬৪টি ডিভোর্সের আবেদন জমা পড়েছে।
এত দ্রুত ডিভোর্সের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে অনেকেই জানতে চান, ডিভোর্স দিতে কত টাকা খরচ হয়? এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে পুরো পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
ডিভোর্স দিতে কত টাকা লাগে?
একটি বিবাহবিচ্ছেদ হলে স্বামী ও স্ত্রী একে অপরের থেকে আইনি বিচ্ছিন্নতা পান। তবে ডিভোর্সের জন্য কিছু নির্দিষ্ট ফি ও কাগজপত্র প্রয়োজন।
বাংলাদেশে ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশন ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ:
✅ ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশন ফি – ৫০০ টাকা
✅ ডিভোর্স নকল কপি সংগ্রহের ফি – ৫০ টাকা
✅ তল্লাশি ফি – ১০ টাকা
✅ যাতায়াত ফি (প্রতি কিলোমিটার) – ১০ টাকা
তবে আইনি সহায়তা, উকিল ফি, দেনমোহর পরিশোধ, বা সম্পত্তি ভাগাভাগির ক্ষেত্রে বাড়তি খরচ হতে পারে।
ডিভোর্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
স্বামী বা স্ত্রী যেই ডিভোর্স দিতে চান, তাকে নিম্নলিখিত কাগজপত্র প্রস্তুত করতে হবে:
🔹 বিয়ের কাবিননামা
🔹 জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা জন্ম সনদ
🔹 ডিভোর্স নোটিশ (তালাকনামা)
🔹 স্থানীয় চেয়ারম্যান বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নোটিশ পাঠানোর প্রমাণ
স্বামী স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে কত টাকা লাগে?
স্বামী যদি স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে চান, তাহলে—
✔️ মৌখিকভাবে বা লিখিতভাবে তালাকের ইচ্ছা প্রকাশ করতে হবে।
✔️ ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশনের জন্য ৫০০ টাকা দিতে হবে।
✔️ দেনমোহরের টাকা (যদি অবশিষ্ট থাকে) পরিশোধ করতে হবে।
✔️ আইনজীবীর সহায়তা নিলে অতিরিক্ত ফি গুনতে হতে পারে।
তবে স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাক দেন, তাহলে তাকে আদালতে কোনো বিশেষ কারণ দেখাতে হয় না।
স্ত্রী স্বামীকে ডিভোর্স দিতে কত টাকা লাগে?
নারী যদি স্বামীকে ডিভোর্স দিতে চান, তাহলে—
✔️ ২০০৯ সালের মুসলিম বিবাহ ও তালাক বিধিমালা অনুযায়ী ৫০০ টাকা তালাক রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হবে।
✔️ নকল কপি ফি হিসেবে ৫০ টাকা দিতে হবে।
✔️ যদি স্বামী দেনমোহর পরিশোধ না করে, তাহলে আইনি সহায়তা নিতে হবে, যা বাড়তি খরচ হতে পারে।
ডিভোর্সের খরচ কীভাবে বাড়তে পারে?
ডিভোর্সের সাধারণ রেজিস্ট্রেশন ফি খুব বেশি নয়, তবে বিভিন্ন কারণে খরচ বেশি হতে পারে:
🔹 উকিল বা আইনজীবীর পরামর্শ নিলে ৫,০০০ – ৩০,০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
🔹 যদি স্ত্রী দেনমোহরের টাকা দাবি করেন, তাহলে স্বামীর জন্য এটি একটি বড় খরচ হতে পারে।
🔹 যদি কোনো সম্পত্তি ভাগাভাগির প্রয়োজন হয়, তাহলে বাড়তি আইনি খরচ লাগবে।
শেষ কথা
বিবাহ একটি পবিত্র সম্পর্ক, তবে কিছু পরিস্থিতিতে ডিভোর্স বাধ্যতামূলক হয়ে যায়। ডিভোর্স দিতে কত টাকা লাগে তা নির্ভর করে আইনি প্রক্রিয়া, দেনমোহর, সম্পত্তির ভাগাভাগি এবং অন্যান্য বিষয়গুলোর ওপর।
একটা কিডনির দাম কত – বিস্তারিত জানুন
🚨 আপনার যদি ডিভোর্স সংক্রান্ত আইনি সহায়তা প্রয়োজন হয়, তাহলে অবশ্যই একজন পেশাদার আইনজীবীর পরামর্শ নিন।
👉 এই পোস্টটি আপনার উপকারে এলে শেয়ার করুন এবং ডিভোর্স সংক্রান্ত আরও তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন!